আপনার কাছে মনে হতে পারে ফুল শুধু সৌন্দর্য, নান্দনিকতা ও ভালোবাসার প্রতীক। আপনি হয়তো জেনে থাকবেন প্রার্থনা, শুভেচ্ছা এমনকি মৃতের সৎকারের জন্য মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই ফুল ব্যবহার করে আসছে। যুগ যুগ ধরে ফুল মানুষকে মোহবিষ্ট করেছে। মানুষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে ফুল একটি অতীব সুন্দর ও কার্যকরী উপকরণ হিসেবে পরিচিত।
আমরা আপনাকে জানাতে চাই, শুধু সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যই নয়, বিশেষ কিছু ফুলের রয়েছে নানা ঔষধি গুণাবলি। গৃহসজ্জা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ফুলগাছ থেকে যদি অর্গানিক ঔষধি সেবা পাওয়া যায় তাহলে মন্দ হয় না।
ফুলগাছ থেকে ওষুধ তৈরির কথা শুনে আশ্চর্য হবার কিছু নেই৷ প্রাচীনকাল থেকে ফুল হতে প্রাপ্ত ওষুধ মানুষ ব্যবহার করে আসছে। ঔষধি গুণসম্পন্ন বিভিন্ন ফুলগাছ আমাদের চারপাশেই রয়েছে। আমরা এখন হাতের নাগালের মধ্যে এমন কিছু ঔষধি ফুল ও এর ব্যবহার সম্পর্কে জানবো।
গোলাপের ভেষজ গুণাবলি
গোলাপ অত্যন্ত সুপরিচিত একটি ফুল। আপনি জেনে আশ্চর্য হবেন যে গোলাপের কয়েক হাজার প্রজাতি রয়েছে। সারা বিশ্ব জুড়েই গোলাপের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। যার ফলে বাণিজ্যিক ভাবে গোলাপ চাষের ব্যাপারটি আজকাল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে অনেকের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
আপনার বারান্দা বা ছাদে সীমিত পরিসরে গোলাপ চাষ করে যেমন সৌন্দর্যের খোরাক মেটাতে পারেন তেমনি কিছু ঔষধি কাজেও গোলাপকে ব্যবহার করতে পারেন। গোলাপ গাছ কাঁটাযুক্ত এর ডালের অগ্রভাগে সুন্দর ফুল ফোটে। গোলাপ প্রধানত শোভাবর্ধক গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। গোলাপের ঔষধি গুণগুলো সম্পর্কে চলুন আমরা কিছু তথ্য জেনে আসি।
- গোলাপ রয়েছে ভিটামিন সি। এর চাহিদা পূরণ করতে গোলাপ ব্যবহার করা যায়।
- বদহজমের সমস্যার জন্য কয়েকটি গোলাপের পাপড়ি চিবিয়ে খেলে তাৎক্ষণিক উপকার পাওয়া যায়।
- নারীদের ঋতুস্রাব জনিত সমস্যায় এর পাপড়ির ব্যবহার হয়।
- চোখ ভালো রাখতে গোলাপ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
- পুরাতন আমাশয়ের চিকিৎসায় গোলাপ ব্যবহার করা হয়।
- ব্রনের চিকিৎসায় বেসনের সাথে গোলাপের পাপড়ি পেস্ট করে নিয়ে কয়েকদিন মুখে লাগালে ব্রন ও এর দাগ চলে যায়।
- মুখের অরুচিতে ৫ গ্রাম গোলপের পাপড়ি পেস্ট করে মধুর সাথে সেবন করলে কয়েকদিনেই রুচি ফিরে আসে।
- বমি বা জ্বরের চিকিসায় শরবতের সাথে গোলাপ কুঁড়ির পেস্ট আধা চা চামচ মিশিয়ে খেলে দ্রুত আরোগ্য লাভ হয়।
- ময়দা ও দুধের সাথে গোলাপ বেটে শরীরে মেখে নিলে সহজে দুর্গন্ধ হয় না ও ত্বক ভালো থাকে।
এখন মনোযোগ দিয়ে ভাবুন গোলাপ কিভাবে আপনার পরম বন্ধু হয়ে উঠতে পারে! সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি ত্বকের যত্নে ও নানান রোগের চিকিৎসায় গোলাপ খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
ত্বকের যত্ন ও রোগের চিকিৎসায় জবা
জবাও আমাদের অতি পরিচিত ফুল। এর অনেকগুলো ভেরিয়েন্ট থাকলেও বাংলাদেশে লাল ও সাদা জবাই বেশি দেখা যায়। হিন্দু ধর্মের পূজায় জবার অহরহ ব্যবহার দেখা যায়৷ এছাড়াও জবা সাধারণভাবেই বাড়ির শোভা বর্ধন করে থাকে। জবা ফুলের আদি নিবাস পূর্ব এশিয়ায়। গ্রীষ্ম ও শরৎকালে জবা ফুল বেশি দেখা যায়। জবা গন্ধহীন ফুল। চিরসবুজ ও বহুবর্ষজীবী এই ফুলগাছ আকারে ৮-১৬ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়। জবার এসব বৈশিষ্ট্য ছাড়াও আশ্চর্য রকমের ঔষদি গুণাবলি রয়েছে।
আপনি হয়তো কখনো এভাবে চিন্তা করে নাও দেখতে পারেন৷ আপনার বারান্দা বা ছাদের গোলাপ গাছটি কখনো যত্নে বা কখনো অযত্নে সৌন্দর্য বর্ধনের চেষ্টা করেছে৷ কিন্তু আপনার জবা গাছটি একই সাথে নিতে পারে আপনার ত্বকের যত্ন। দেহের কিছু রোগের চিকিৎসায়ও ব্যবহার করতে পারেন জবার ফুল বা পাতা। চলুন জেনে আসি এমন কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য।
- জবা গাছের পাতার সাথে জয়তুন তেল একত্রে ফুটিয়ে মাথায় দিলে চুল পড়া রোধ হয়।
- অকালপক্ব চুলের গোড়া কালো ও মজবুত করতে দুধের সাথে জবা ফুলের পাপড়ি ও যষ্টিমধু মিশিয়ে তেল বানিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল কালো হয়।
- পাঁচটি লাল জবা গরম ঘি এর মধ্যে ভেজে খেলে মহিলাদের অতিরিক্ত ঋতুস্রাব কমে স্বাভাবিক হয়।
- অনিয়মিত মাসিক স্বাভাবিক করতে ৩ টি জবার সাথে কয়েকটি দারুচিনি একত্রে পেস্ট করে শরবত বানিয়ে খেলে মাসিক স্বাভাবিক হয়।
- অনেকের চোখ ওঠে বা জ্বালাপোড়া করে। এমতাবস্থায় জবাফুল পেস্ট করে চোখের পাপড়ি ও নিচের অংশে লাগালে চোখ স্বাভাবিক হয়।
- ডায়াবেটিস রোগীদের প্রচুর পিপাসা লাগে। জবা গাছের ছাল ১ চা চামচ পেস্ট করে শরবত বানিয়ে খেলে পিপাসা কমে যায়।
- বমি বমি ভাব হলে বা নানান অস্বাস্থ্যকর জিনিস পেটে গোলমাল শুরু করলে এর জন্য ৩-৪ টি জবা ফুলের সাথে পরিমিত পানি ও চিনি দিয়ে শরবত বানিয়ে কয়েকবার খেলেই তাৎক্ষণিক ফল পাওয়া যায়।
- টাক সমস্যার সমাধান করতে কয়েকটি জবা বেটে টাকে লাগালে নতুন চুল গজায়।
- যাদের হাতের চামড়া উঠে খসখসে হয়ে যায় তাদের জন্য হাতকে কোমল রাখতে, হাতের তালুতে জবা ফুল ডলে নিলে হাতের তালু মসৃণ হয়।
গাঁদার ভেষজ গুণ
গাঁদা আমাদের পরিচিত ফুলের মধ্যে অন্যতম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জাতীয় উৎসবে, হলুদ সন্ধ্যা বা বিয়ের আসরে, সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সজ্জায় গাঁদা ফুল প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। চাহিদা থাকায় গাঁদার চাষ হয় বাণিজ্যিক ভাবে। গাঁদা ফুলের দুইটি ভ্যারিয়েন্ট আমাদের দেশে দেখা যায়। একটি আফ্রিকান অন্যটি ফরাসি। কালারের বিবেচনায় হলুদ ও খয়েরি রঙ বেশি দেখা যায়।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গাঁদা ফুলের ব্যাপক ব্যবহার থাকলেও এটির যে কিছু ভেষজ গুণাবলি রয়েছে তা আমরা খুব কম সংখ্যক মানুষই জানি। চলুন এবার গাঁদার ভেষজ গুণাবলি সম্পর্কে আমরা জেনে আসি।
- শরীরে ফোঁড়া উঠলে গাঁদার পাতা বেটে পেস্ট করে লাগিয়ে দিলে দ্রুত উপশম হয়।
- শরীরের ক্ষতস্থান দ্রুত শুকাতে ও রক্তক্ষরণ কমাতে গাদা পাতার প্রলেপ উপকারি।
- রক্তপিত্ত কমাতে গাঁদার পাতা রস করে ১ চা চামচ দুইঘন্টা পরপর দুই দিন খেলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য ও অর্শরোগে ১ চা চামচ গাঁদা পাতার রস মাখনের সাথে মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ও মলদ্বারে জ্বালাপোড়া কমে যায়৷
- ত্বক সুন্দর রাখতে গাঁদা ফুলের চা পান করা যায়।
- মাথার খুশকি কমাতে তেলের সাথে গাঁদা ফুল বেটে ব্যবহার করলে খুশকি কমে যায়।
- পুরাতন আমাশয় থেকে রক্ষা পেতে দিনে ৩ বার গাঁদা পাতার রস ২ চা চামচ করে সেবন করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
- যক্ষারোগের চিকিৎসায় গাঁদা পাতা শুকিয়ে নিয়ে ২৫০ এমএল ছাগলের দুধের সাথে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে যক্ষার উপশম হয়।
- কানে ব্যথা হলে গাঁদা পাতার রস গরম করে ২ ফোঁটা কানের ভেতর ঢেলে দিলে ব্যথা কমে যায়। এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, খুব বেশি গরম অবস্থায় তা কানের ভেতর ঢেলে দেয়া না হয়৷
- মুখে দুর্গন্ধ বা ঘা হলে গাঁদা ফুল শুকিয়ে পুড়ে ছাই বানিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ও মাড়ির যেকোনো রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ নয়নতারা
নয়নতারা বহুবর্ষজীবী গুল্ম প্রজাতির উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস মাদারগাস্কার দ্বীপে হলেও অখণ্ড ভারতবর্ষে প্রচুর পরিমাণে এটি জন্মাতে দেখা যায়। নয়নতারার পাতা মসৃণ ও ডিম্বাকৃতি। গাছের উপরিভাগে পাঁচটি পাপড়ি যুক্ত ফুল ফোটে। যত্নে রাখলে ২-৩ উঁচু এই গাছ থেকে প্রচুর ফুল পাওয়া যায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে গাছের যত্ন বাড়াতে হয়। সবুজ পাতার ভেতর বেগুনি ও সাদা ফুল খুবই মনোরম দেখায়।
আপনার বারান্দা বা ছাদের এক কোণে একটি নয়নতারা গাছ যেন সত্যিই তারার মত জ্বলজ্বল করে আপনাকে আনন্দে মাতিয়ে রাখতে সক্ষম। ঠিক তেমনি আপনার ত্বকের যত্ন ও দেহের বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের চিকিৎসায়ও নয়নতারা চমৎকার ভূমিকা রাখবে। জেনে আশ্চর্য হবেন যে, বিশেষজ্ঞরা ৭০টিরও বেশি রোগের ঔষধ নয়নতারা গাছ হতে আবিষ্কার করেছেন৷ চলুন আমরা নয়নতারার কিছু ভেষজ গুণের কথা জেনে আসি।
- ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে নয়নতারার পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন।
- লিউকেমিয়া রোগ থেকে নিস্তার পেতে নয়নতারা সহায়ক ভূমিকা রাখে।
- উচ্চরক্তচাপ কমাতে নয়নতারা গাছের মূলের রস ৫ এমএল খেতে পারেন।
- শরীরের ক্ষতস্থান শুকাতে নয়নতারা পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন।
- ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে নয়নতারার কচি ডালের রস খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।
- মৌমাছি, ভিমরুল ইত্যাদির হুলের অসহনীয় যন্ত্রণা কমাতে নয়নতারার পাতা ব্যবহার করলে ব্যথা কমে যাবে।
- ঘা হলে নয়নতারা পাতার রস আক্রান্ত স্থানে লাগালে দ্রুত শুকায়।
- নয়নতারা পাতার রস হার্টকে সুস্থ রাখে।
- কৃমিনাশক হিসেবে কয়েকটি পাতা এক সপ্তাহ চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
- স্মরণশক্তি বাড়াতে নয়নতারা খুব কার্যকর ভূমিকা রাখে।
- রুচি বাড়াতে নয়নতারা পাতার রস খেতে পারেন।
- ঘুম কম হলে নয়নতারা পাতার রস পান করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
বনজুঁইয়ের ভেষজ গুণাগুণ
বনজুঁই আমাদের সুপরিচিত ফুলগাছ। এটি এক ধরণের বুনো ফুল। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ ভাটফুল হিসেবে এটিকে চেনে। এর প্রায় ৪০০ প্রজাতি রয়েছে। ছোট এই ফুলে রয়েছে মনোমুগ্ধকর সুবাস। আগে সচরাচর এর দেখা মিললেও বর্তমানে শৌখিন বাগানিরা তাদের বাগানের শোভাবর্ধক হিসেবে ভাটফুল রাখেন। বাগান, পরিত্যক্ত মাঠ, রাস্তা, জলাশয়ের পাশে এটি বেশি দেখা যায়। গাছটি উচ্চতায় ৪ ফুট পর্যন্ত হয়।
হয়তো মনে করতে পারেন পথের পাশে অযত্নে ফুটে থাকা এই ফুলটি তেমন কোনো কাজের না। কিন্তু বনজুঁই ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ। চলুন আমরা বনজুঁইয়ের কিছু ঔষধি গুণ সম্বন্ধে জেনে নিই।
- বনজুঁই পাতার রস কৃমিনাশক হিসেবে বেশ কার্যকর। সকালে খালিপেটে কয়েকদিন এর পাতার রস সেবন করলে কৃমি থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।
- বিষাক্ত কীট দংশন করলে আক্রান্ত স্থান ফুলে যায় ও যন্ত্রণা করে, এমতাবস্থায় এর পাতার রস আক্রান্ত স্থানে লাগালে ব্যথা কমে যায়।
- যাদের নিয়মিত পায়খানা হয় না তারা ভাট পাতার রস সকালে খালিপেটে ৩০ এমএল পান করলে পেট পরিষ্কার হবে। তবে শিশু ও বালকের ক্ষেত্রে ১৫ এমএল সেবন করাই উপযুক্ত।
- টিউমার নিরাময়ে বনজুঁই বা ভাট খুবই ভালো ঔষধ। এর গাছের শিকড় বেটে টিউমারের ফোলা অংশে লাগিয়ে পাতলা কাপড় দিয়ে বেধে রাখতে পারেন। কিছুদিন এভাবে ব্যবহার করলে উপকার পেতে পারেন।
- মাথা বা শরীরের যেকোনো জায়গায় উঁকুন হলে বনজুঁই পাতার রস উক্ত স্থানে অন্তত দেড় ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন। একাধিকবার ব্যবহারে সহজে উঁকুনমুক্ত হওয়া যায়।
- দূর্বলতা কাটাতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে বনজুঁই পাতার রস ৩-৪ চা চামচ খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
- যেকোনো চর্মরোগে বনজুঁই পাতার রস ১০-১৫ দিন নিয়মিত লাগালে আরোগ্য লাভ করবেন।
- বাচ্চারা বারবার প্রস্রাব করলে বনজুঁই পাতার রস ও মূলের রস একত্রে খাওয়ালে উপকার পাবেন।
- ক্ষুধামন্দা সমস্যায় এর মূল ও কচি পাতার রস খেতে পারেন।
উপরে উল্লিখিত ফুলগুলো আমাদের অতি পরিচিত। এগুলো থেকে প্রস্তুতকৃত ঔষধ আপনার স্বাস্থ্যের যত্নে সর্বদা তৎপর। তবে যেকোনো ভেষজ ঔষধে কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। উল্লিখিত ভেষজ ফুলগুলো এর ব্যতিক্রম নয়। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ডাক্তার বা ভেষজ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নিয়ে যেকোনো ভেষজ সেবন করুন।
আপনার বারান্দা বা ছাদে চাষকৃত ফুলগাছগুলো একইসাথে সৌন্দর্য বর্ধন ও আপনার স্বাস্থ্যের যত্নে নিয়োজিত থাকুক। ফুল চাষে মন ও শরীর দুটোকেই রাখুন প্রাণবন্ত।